মাধ্যমিক জীবনবিজ্ঞান বংশগতি সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ ও 100% কমোন যগ্য সংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্নোত্তর (SAQ)

বংশগতি এবং কয়েকটি সাধারণ জিনগত রোগ( Heredity and Some Common Genetic Diseases)

_____________________________
                       Topic : 3
_____________________________
 

সংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্নোত্তর (SAQ)

    Q.1.  বাবা ও মায়ের মধ্যে অপত্যের লিঙ্গ নির্ধারণে কার গুরুত্ব বেশি তা একটি ক্রসের মাধ্যমে দেখাও।
    অথবা, কন্যাসন্তানের জন্য পিতাই দায়ী—চেকার বোর্ডের সাহায্যে ব্যাখ্যা করো।
    অথবা, মানুষের লিঙ্গ নির্ধারণে পিতার ভূমিকা মুখ্য কেন?
    অথবা, মানুষের লিঙ্গ নির্ধারণের প্রচলিত ধারণাটি বৈজ্ঞানিক সত্যের আলোকে বিচার করো।
    অথবা, একজন মহিলার তিনটি কন্যাসন্তান জন্মানোর পরও তিনি পুত্রসন্তানের জন্ম দিতে ইচ্ছুক। তাঁর ইচ্ছা কতটা পূরণ হওয়া সম্ভব তা একটি ক্রসের সাহায্যে দেখাও।
    অথবা, “মানুষের লিঙ্গ নির্ধারণে মাতা অপেক্ষা পিতার ভূমিকা অধিক গুরুত্বপূর্ণ”—বক্তব্যটির যথার্থতা বিচার করো।
    অথবা, মানুষের ক্ষেত্রে লিঙ্গ নির্ধারণে মাতার কোনো ভূমিকা নেই—ব্যাখ্যা করো।
    অথবা, মানুষের ক্ষেত্রে সন্তানের লিঙ্গ কীভাবে নির্ধারিত হয় তা একটি ক্রসের সাহায্যে দেখাও।
    অথবা, মানুষের লিঙ্গ নির্ধারণে Y ক্রোমোজোমের ভূমিকা লেখো।
    অথবা, কোনো সন্তানের লিঙ্গ কী হবে তা নির্ভর করে তার পিতার ওপর—কথাটির যথার্থতা বোঝাও।


    Answer:  সন্তানের লিঙ্গ নির্ধারণের জন্য পিতা ও মাতার মধ্যে পিতা, মাতা অপেক্ষা অধিক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পিতার দেহকোশে X ও Y দুই ধরনের সেক্স ক্রোমোজোম থাকায় মিয়োসিস কোশবিভাজনের ফলে X ও Y ক্রোমোজোমযুক্ত দু-প্রকার পুংগ্যামেট বা শুক্রাণু উৎপন্ন করতে পারে, অপরপক্ষে মাতার দেহকোশে কেবলমাত্র X ক্রোমোজোম থাকায় এরা মিয়োসিস কোশবিভাজনের মাধ্যমে কেবলমাত্র X ক্রোমোজোমযুক্ত স্ত্রীগ্যামেট বা ডিম্বাণু উৎপাদন করতে পারে। সন্তান পুত্র হবে না কন্যা হবে তা নির্ভর করে Y-ক্রোমোজোমের উপস্থিতির উপর। Y-ক্রোমোজোমযুক্ত শুক্রাণু ডিম্বাণুকে নিষিক্ত করলে পুত্রসন্তান হবে এবং X-ক্রোমোজোমযুক্ত শুক্রাণু ডিম্বাণুকে নিষিক্ত করলে কন্যাসন্তান সৃষ্টি হবে।
    নিচে চেকারবোর্ডের সাহায্যে বোঝানো হল__ 

    Q.2 ভিন্ন ভিন্ন জিনোটাইপ একই ফিনোটাইপ উৎপন্ন করে”—মটর গাছের দ্বিসংকর জননের পরীক্ষার ফলাফলের একটি উদাহরণ নিয়ে সারণির সাহায্যে বক্তব্যটির যথার্থতা প্রমাণ করো। 


    ANS. মেন্ডেলের দ্বিসংকর জননের F, জনুতে উৎপন্ন ভিন্ন ভিন্ন জিনোটাইপ একই ফিনোটাইপ উৎপন্ন করে।
    যেমন – (i) YYRR, YYRr, YYRR ও YyRr জিনোটাইপগুলি হলুদ গোলাকার বীজযুক্ত মটর গাছ উৎপন্ন করে।
    (ii) YYrr ও Yyrr জিনোটাইপ দুটি হলুদ কুঞ্ঝিত বীজযুক্ত মটর গাছ উৎপন্ন করে।
    (iii) yyRR ও yyRr জিনোটাইপ দুটি সবুজ গোলাকার বীজযুক্ত মটর গাছ উৎপন্ন করে।


    Q.3 জিনোটাইপ ও ফিনোটাইপের মধ্যে সম্পর্ক লেখো।
    অথবা, 'ফিনোটাইপ জিনোটাইপের ওপর নির্ভর করলেও জিনোটাইপ ফিনোটাইপের ওপর নির্ভর করে না’—ব্যাখ্যা করো।


    ANS. কোনো জীবের নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্যাবলির বাহ্যিক প্রকাশকে ফিনোটাইপ বলে। অপরপক্ষে, জীবের নির্দিষ্ট জিনগত গঠন বা জিনের সংযুক্তিকে জিনোটাইপ বলে। অর্থাৎ ফিনোটাইপ নির্ধারিত হয় নির্দিষ্ট জিনগত সংকেত বা জিনোটাইপ দ্বারা কিন্তু ফিনোটাইপ কখনোই জিনের সংকেত বা জিনোটাইপকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। যেমন- TT ও Tt জিনোটাইপ
    লম্বা ফিনোটাইপ প্রকাশ পায়। কিন্তু লম্বা বৈশিষ্ট্য TT ও Tt-কে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না।
    সুতরাং ফিনোটাইপ জিনোটাইপের ওপর নির্ভর করে কিন্তু জিনোটাইপ ফিনোটাইপের ওপর নির্ভর করে না।


    Q.4  একসংকর জনন ও দ্বিসংকর জনন বলতে কী বোঝো?


    ANS. একজোড়া বিপরীত চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন একই প্রজাতির দুটি জীবের মধ্যে সংকরায়ণ ঘটানোকে একসংকর জনন বা মনোহাইব্রিড ক্রস বলে।
          দু-জোড়া বিপরীত চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন একই প্রজাতিভুক্ত দুটি জীবের সংকরায়ণ ঘটানোকে দ্বিসংকর জনন বা ডাইহাইব্রিড ক্রস বলে।


    Q.5  সংকর জীব সর্বদা হেটারোজাইগাস অবস্থায় থাকে কেন?


    ANS. সংকর জীবের মধ্যে এক বা একাধিক বিপরীত ধর্মী জিনের বৈশিষ্ট্য অবস্থান করে। এর মধ্যে প্রকট জীবের বৈশিষ্ট্যটি প্রকাশ পায়, এবং প্রচ্ছন্ন বৈশিষ্ট্যটি প্রকাশিত হয় না বা সুপ্ত থাকে। অর্থাৎ সংকর জীবের মধ্যে সর্বদাই দুটি বিপরীতধর্মী জিন থাকে, এক গ্যামেট উৎপাদনের সময় দুটি জিন পরস্পর থেকে পৃথক হয়ে যায়। যেমন—সংকর লম্বা (Tt) মটর গাছ।

    Q.6  মেন্ডেলের প্রকটতার সূত্রটি বিবৃত করো।


    ANS. বিপরীতধর্মী বিশুদ্ধ বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন দুটি জীবের মধ্যে পরনিষেক ঘটালে প্রথম অপত্য জনুতে কেবল প্রকট বৈশিষ্ট্যের বহিঃপ্রকাশ ঘটে। প্রচ্ছন্ন বৈশিষ্ট্যটি সুপ্ত অবস্থায় থাকে। এটি মেন্ডেলের প্রকটতার সূত্র নামে পরিচিত। এটি একটি উপসূত্র।

    Q.7 প্রদত্ত শব্দ দুটি ব্যাখ্যা করো — টেস্ট ক্রস, ব্যাক ক্রস।


    ANS. টেস্ট ক্রস : 
             কোনো জীবের জিনোটাইপ নির্ণয়ের জন্য ওই জীবের সঙ্গে হোমোজাইগাস প্রচ্ছন্ন জিনোটাইপযুক্ত জীবের ক্রস ঘটানোর
    পদ্ধতিকে বলে টেস্ট ক্রস।
    সংকর লম্বা (Tt) × বেঁটে (tt)।
         ব্যাক ক্রস : 
          অপত্য বংশীয় কোনো জীবের সঙ্গে জনিতৃ জনুর কোনো জীবের সংকরায়ণ পদ্ধতিকে ব্যাক ক্রস বলে।
    F1 জনু × P জনু
    (i) সংকর লম্বা (Tt) × বিশুদ্ধ লম্বা (TT)
    (ii) সংকর লম্বা (Tt) × বেঁটে (tt)


    Q.8 একটি 'TT' জিনোটাইপযুক্ত মটর উদ্ভিদের সঙ্গে অপর একটি 'Tt' জিনোটাইপযুক্ত মটর উদ্ভিদের সংকরায়ণ ঘটালে প্রথম অপত্য জনুতে প্রতিটি জিনোটাইপের উদ্ভিদের শতকরা কতভাগ করে পাওয়া যাবে?


    ANS. শতকরা 50 ভাগ করে পাওয়া যাবে।


    Q.9 সমস্ত টেস্ট ক্রসই ব্যাক ক্রস কিন্তু সমস্ত ব্যাক ক্রস টেস্ট নয়, কেন?


    ANS.  জনিতৃ জনুর সঙ্গে অপত্য জনুর সংকরায়ণকে ব্যাক ক্রস বলে। যমন—প্রথম অপত্য জনুতে উৎপন্ন সংকর লম্বা মটর গাছের (Tt) সঙ্গে জনিতৃ জনু (প্রকট বৈশিষ্ট্যযুক্ত Ttবা প্রচ্ছন্ন বৈশিষ্ট্যযুক্ত tt)-র সংকরায়ণকে (Tt ×TT/tt) ব্যাক ক্রস বলে।
    অপরদিকে, অপত্য জনুর সঙ্গে প্রচ্ছন্ন বৈশিষ্ট্য জনিতৃ জীবের সংকরায়ণকে (Tt × tt) টেস্ট ক্রস বলে, যা একপ্রকারের ব্যাক ক্রসও। তাই সমস্ত টেস্ট ক্রস ব্যাক ক্রস হলেও সমস্ত ব্যাক ক্রস টেস্ট ক্রস নয়।
     

    Q.10  9:3:3:1   ও  1:2:1 এই অনুপাত দুটির মধ্যে পার্থক্য কী?


    ANS. 9 : 3 : 3 : 1 অনুপাত দ্বিসংকর জননের F, জনুর ফিনোটাইপ অনুপাত, অপরপক্ষে 1:2:1 অনুপাতটি হল একসংকর জননের F, জনুর
    জিনোটাইপ অনুপাত।


    Q.11  পুরুষদের হেটারোগ্যামেটিক মেল বলা হয় কেন?


    ANS. পুরুষের দেহকোশে ক্রোমোজোম থাকে 23 জোড়া এবং এর বিন্যাস 44AA + XY অর্থাৎ এদের সেক্স ক্রোমোজোম X ও Y। গ্যামেট গঠনকালে মিয়োসিস কোশ বিভাজনের ফলে যে গ্যামেট উৎপন্ন হয় তা দু-প্রকার,
    যথা – X ক্রোমোজোম যুক্ত শুক্রাণু (22A + X) এবং Y ক্রোমোজোম যুক্ত শুক্রাণু (22A+Y)। যেহেতু পুরুষদেহে দু-প্রকার পুংগ্যামেট উৎপন্ন হয়, তাই পুরুষদের হেটেরোগ্যামেটিক মেল বলে।


    Q.12  স্ত্রীদেহকে হোমোগ্যামেটিক লিঙ্গ বলা হয় কেন?


    ANS.  স্ত্রীদেহে দেহকোশে 23 জোড়া ক্রোমোজোম থাকে এবং এর বিন্যাস
    44AA + XX অর্থাৎ এদের সেক্স ক্রোমোজোম X । গ্যামেট গঠনকালে মিয়োসিস কোশ বিভাজনের ফলে একই প্রকার স্ত্রীগ্যামেট বা ডিম্বাণু উৎপন্ন
    হয়। এদের ক্রোমোজোম বিন্যাস (22A + X)। যেহেতু স্ত্রীদেহে একই প্রকার স্ত্রীগ্যামেট বা ডিম্বাণু উৎপন্ন হয়, তাই স্ত্রীদের হোমোগ্যামেটিক লিঙ্গ বলে । 


    Q.13  মানবদেহে বংশানুক্রমিকভাবে সঞ্চারিত প্রকরণ দুটির উদাহরণ দাও।


    ANS.  মানবদেহে বংশানুক্রমিকভাবে সঞ্চারিত প্রকরণ হল—
    (i) রোলার ও স্বাভাবিক জিভ। (ii) মুক্ত ও যুক্ত কানের লতি।


    Q.14 ‘যৌন ক্রোমোজোমবাহিত রোগগুলি ক্রিসক্রস উত্তরাধিকার দেখায়’—ব্যাখ্যা করো।


    ANS.  যৌন ক্রোমোজোমবাহিত রোগগুলি সাধারণত প্রচ্ছন্ন অ্যালিল দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। এই রোগগুলির ক্ষেত্রে মাতামহের (Grand father) X ক্রোমোজোমে অবস্থিত প্রচ্ছন্ন রোগাক্রান্ত জিন যদি কন্যার মাধ্যমে তার দৌহিত্রে (Grandson)-এ সঞ্চারিত হয়, তাহলে তাকে ক্রিস ‘ক্রস উত্তরাধিকার বলে।


     Q.15 সন্ধ্যামালতী উদ্ভিদের F, জনুতে উৎপন্ন ফুলগুলি গোলাপি হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করো।


    ANS. সন্ধ্যামালতি উদ্ভিদের ক্ষেত্রে অসম্পূর্ণ প্রকটতা দেখা দেওয়ায় F জনুতে লাল বা সাদা কোনো রং-এর ফুল দেখা যায় না, পরিবর্তে গোলাপি ফুল দেখা যায়। কারণ মেন্ডেলের সূত্র অনুযায়ী হেটেরোজাইগাস অবস্থায় লাল বা সাদা কোনো একটি রং প্রকাশ পাওয়া উচিত ছিল। কিন্তু অসম্পূর্ণ প্রকটতার ফলে হেটেরোজাইগাস অবস্থায় তাদের মধ্যবর্তী বৈশিষ্ট্য গোলাপি রং প্রকাশ পেয়েছে।


    Q.16 টোফিন কাকে বলে?


    ANS. টোফিন একটি বিরল প্রকৃতির জন্মগত অস্বাভাবিকতা, যেক্ষেত্রে নেত্রপল্লব পেশির পক্ষাঘাতের জন্য চোখ সম্পূর্ণভাবে উন্মোচিত হতে পারে না।


    Q.17 অসম্পূর্ণ প্রকতার ক্ষেত্রে একসংকরায়ণ পরীক্ষায় F2 জনুতে
    ফিনোটাইপ ও জিনোটাইপের অনুপাত কী হবে?


    ANS.  অসম্পূর্ণ প্রকটতায় সন্ধ্যামালতী উদ্ভিদের ক্ষেত্রে :


    Q.18 প্রচ্ছন্ন বৈশিষ্ট্য সবসময় খাঁটি হয় উক্তিটির তাৎপর্য ব্যাখা করো।
    অথবা, “বেঁটে মটর গাছগুলি সবসময়ই খাঁটি”—উক্তিটি তাৎপর্য ব্যাখ্যা করো।
    অথবা, প্রচ্ছন্ন ফিনোটাইপ হেটেরোজাইগাস হতে পারে না—ব্যাখ্যা করো।


    ANS.  মটর গাছের ক্ষেত্রে বেঁটে বৈশিষ্ট্যটি প্রচ্ছন্ন বৈশিষ্ট্য। মেন্ডেলের তত্ত্ব অনুযায়ী প্রচ্ছন্ন বৈশিষ্ট্য কেবলমাত্র হোমোজাইগাস অবস্থায় প্রকাশ পায়
    এক্ষেত্রে হোমোজাইগাস (tt) অবস্থাতেই বেঁটে বৈশিষ্ট্যটি প্রকাশিত হওয়ায় বেঁটে মটর গাছগুলি সবসময়ই খাঁটি হবে, কখনোই সংকর হবে না।


    Q.19 অসম্পূর্ণ প্রকটতা কী? কোন্ উদ্ভিদে এরকম ঘটনা দেখা যায় ? কোন প্রনীর ক্ষেত্রে এটি দেখা যায় ?


    ANS. একটি প্রকট ও একটি প্রচ্ছন্ন বৈশিষ্ট্যযুক্ত দুটি জীবের সংকরায়ণ ঘটালে কোনো বৈশিষ্ট্যই প্রকটভাবে প্রকাশ পায় না, বরং কোনো মধ্যবর্তী
    বৈশিষ্ট্য প্রকাশ পায়, তাকে অসম্পূর্ণ প্রকটতা বলে।
     যেমন—সন্ধ্যামালতী গাছের লাল ও সাদা ফুলের পরাগযোগ ঘটলে প্রথম অপত্য জনুতে সব গোলাপি ফুল বিশিষ্ট গাছ জন্মায়। এখানে ‘গোলাপি’ রং অসম্পূর্ণ প্রকটতার
    প্রকাশ।

    প্রনীর ক্ষেত্রে -- অ্যান্ড্রুলেশিয়ান মুরগি


    Q .20. যে-কোনো পাঁচটির সংজ্ঞা লেখো। (i) অ্যালিল, (ii) লোকাস,(iii) প্রকট-প্রচ্ছন্ন, (iv)বিশুদ্ধ-সংকর,(v) সম সংকর ও বিষম
    সংকর, (vi) ফিনোটাইপ ও জিনোটাইপ, (vii) সংকরায়ণ,(viii) জিন বা ফ্যাক্টর।


    ANS. 
    i. অ্যালিল বা অ্যালিলোমর্ফ : সমসংস্থ ক্রোমোজোমের নির্দিষ্ট বিন্দুতে অবস্থিত বিপরীত বৈশিষ্ট্য নিয়ন্ত্রক উপাদানের এক-একটিকে অ্যালিল বা অ্যালিলোমর্ফ বলে। যেমন—লম্বা ও বেঁটে, কালো ও সাদা।


    ii.  লোকাস : ক্রোমোজোমের উপর যে স্থানে কোনো জিন অবস্থান করে সেই স্থানটিকে লোকাস বলে। অর্থাৎ একটি নির্দিষ্ট জিন একটি নির্দিষ্ট ক্রোমোজোমের একটি নির্দিষ্ট অংশে অবস্থান করে, ক্রোমোজোমের এই অংশটিকে জিনের লোকাস বলে।


    iii.  প্রকট ও প্রচ্ছন্ন : দুটো বিপরীত বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন জীবের মধ্যে পরনিষেক (cross) ঘটালে প্রথম অপত্য বংশে অর্থাৎ F, জনুতে যে বৈশিষ্ট্যটি প্রকাশ পায় তাকে প্রকট বৈশিষ্ট্য এবং যে বৈশিষ্ট্যটি প্রকাশ পায় না অর্থাৎ সুপ্ত অবস্থায় থাকে তাকে প্রচ্ছন্ন বৈশিষ্ট্য বলে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, একটি বিশুদ্ধ অর্থাৎ খাঁটি প্রলক্ষণযুক্ত লম্বা মটর গাছের (TT) সঙ্গে একটি বিশুদ্ধ প্রলক্ষণযুক্ত বেঁটে মটর গাছের (tt)
    পরনিষেক ঘটালে প্রথম অপত্য বংশে সংকর লম্বা মটর গাছ (Tt) সৃষ্টি হয় এখানে লম্বা বৈশিষ্ট্যটি প্রকট এবং বেঁটে বৈশিষ্ট্যটি প্রচ্ছন্ন।


    iV.  বিশুদ্ধ ও সংকর জীব : কোনো জীব যদি তার অবিমিশ্র বৈশিষ্ট্যগুলিকে বংশানুক্রমে একইভাবে বজায় রাখে, তখন সেই
    বৈশিষ্ট্যগুলিকে খাঁটি বা বিশুদ্ধ বলে। অপরপক্ষে, দুটি খাঁটি বিপরীত বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন জীবের মিলনে উৎপন্ন জীবকে সংকর বলে। যেমন—বিশুদ্ধ
    লম্বা (TT). বিশুদ্ধ বেঁটে (tt) এবং সংকর লম্বা (Tt) ইত্যাদি।


    V.  সমসংকর ও বিষম সংকর জীব : দুটি সমগুণসম্পন্ন গ্যামেটের মিলনে যে জাইগোট উৎপন্ন হয় তাকে হোমোজাইগোট এবং হোমোজাইগোট থেকে উৎপন্ন জীবকে হোমোজাইগাস বা সমসংকর জীব
    বলে। অপরপক্ষে, বিপরীতধর্মী দুটি গ্যামেটের মিলনে যে জাইগোট উৎপন্ন
    হয় তাকে হেটারোজাইগোট এবং হেটারোজাইগোট থেকে উৎপন্ন জীবকে
    হেটারোজাইগাস বা বিষম সংকর জীব বলে।
    উদাহরণস্বরূপ, একটি লম্বা (T) প্রলক্ষণযুক্ত গ্যামেটের সঙ্গে একটি লম্বা (T) প্রলক্ষণযুক্ত গ্যামেটের মিলনে হোমোজাইগাস (TT) উৎপন্ন হয়। তেমনি একটি লম্বা (T) গ্যামেটের সঙ্গে একটি বেঁটে (t) গ্যামেটের মিলনে সৃষ্টি হয়
    হেটারোজাইগাস (Tt)।


    Vi.  ফিনোটাইপ ও জিনোটাইপ : কোনো জীবের নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্যাবলির বাহ্যিক প্রকাশকে ফিনোটাইপ বলে। অপরপক্ষে, জীবের নির্দিষ্ট জিনগত গঠন বা জিনের সংযুক্তিকে জিনোটাইপ বলে। যেমন—দুটি সংকর কালো (Bb) গিনিপিগের সংকরায়ণ ঘটালে তিন ভাগ কালো ও এক ভাগ সাদা (3 : 1) গিনিপিগ জন্মায়। একে ফিনোটাইপ অনুপাত বলে।
    অপরপক্ষে, এদের জিনগত সংগঠন দেখলে দেখা যাবে কালো গিনিপিগ দু-রকমের, যেমন—বিশুদ্ধ কালো (BB) এবং সংকর কালো (Bb)। সাদা গিনিপিগটি বিশুদ্ধ সাদা (bb)। সুতরাং এদের ফিনোটাইপ অনুপাত = 3:1
    এবং জিনোটাইপ অনুপাত = 1:2:1।


    Vii.  সংকরায়ণ : একই প্রজাতিভুক্ত বিপরীত চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন দুটি জীবের মধ্যে পরনিষেক ঘটিয়ে সংকর জীব সৃষ্টি করার পদ্ধতিকে সংকরায়ণ বা হাইব্রিডাইজেশন বলে। যেমন – বিশুদ্ধ লম্বা মটর গাছের সঙ্গে বিশুদ্ধ বেঁটে মটর গাছের পরাগযোগ ঘটিয়ে সংকর লম্বা মটর গাছ সৃষ্টি করাকে সংকরায়ণ বলে।


    Viii.  জিন বা ফ্যাক্টর : জিন হল বংশগতির গঠনগত ও কার্যগত একক। যে জিনগত উপাদান (genetic component) জীবের বাহ্যিক বৈশিষ্ট্য বা ফিনোটাইপিক চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ ঘটায় তাকে জিন বলে। মেন্ডেল এই এককগুলিকে ফ্যাক্টর নামে অভিহিত করেন। জিন DNA-র অংশ, যা বংশগত বৈশিষ্ট্যাবলি পুরুষানুক্রমে বহন করে।


    Read more..click the link 


    No comments

    ALL ABTA TEST PAPER 2023-24 PAGES SOLUTIONS at free of cost.

    MADHYAMIK ABTA 24 LIFE SCIENCE PAGE 141 | MADHYAMIK ABTA TEST PAPER SOLUTION 24 |

                            MADHYAMIK                 ABTA TEST PAPER 23-24                LIFE SCIENCE PAGE 141                          SOLUTION 

    Powered by Blogger.